Syed Mir Talha Zobaed

BwÄwbqvi ˆmq` gxi Zvjnv Ryev‡q`
Engr. Syed Mir Talha Zobaed


ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদ (ইংরেজি Engr. Syed Mir Talha Zobaed) (জন্মঃ ১৫ অক্টোবর ১৯৯১) হলেন একজন বাংলাদেশি লেখক, কম্পিউটার প্রকৌশলী ও গবেষক। তিনি একজন জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা ৩১ টিরও অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে এবং নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা (Nuclear Accident & Accident Management) সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বর্তমানে একাধারে রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী-র পরিচালক এবং রয়েল ইনস্টিটঊট অফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিচালক, রয়েলসফট টেকনোলজিস (RoyalSoft Technologies) এর CEO এবং রয়েলসফট কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি জরিপের তথ্য অনুসারে তিনি লেখক হিসেবে বাংলাদেশের এ,এম,আই,ই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে; জরিপে অংশগ্রহনকারী ২০০০ জনের মধ্যে ১৬৯৯ জন (৮৪.৯৫%) তার পক্ষে মত দিয়েছে।

 

ব্যক্তিগত জীবন

সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদের জন্ম, ১৯৯১ সালের ১৫ অক্টোবর, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার ৫ নং হাজরাপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের মীরবাড়িতে । তার পিতা সৈয়দ মীর আশরাফুল মোমিন এবং মা শাহানারা বেগম। সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদ প্রাক্তন জমিদার সৈয়দ মীর আব্দুল খালেক এর ৩য় প্রজন্ম। সৈয়দ মীর আব্দুল খালেকের বড় কন্যা সৈয়দা নুরুন-নাহার ও জামাতা মোঃ ইয়াসিন এর বড় পুত্র হলেন ডাঃ সৈয়দ মীর আশরাফুল মোমিন সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদের ডাক নাম ছিল রয়েল (Royal)। পিতা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিলেন এবং পরিবার শিক্ষামনস্ক হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই পিতার হাতধরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়।

  

শিক্ষাজীবন

১৯৯৫ সালে মাত্র সাড়ে তিনবছর বয়সে পিতার হাতধরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। ১৯৯৯ সালে টানা চতুর্থবারের মতো প্রথম স্থান দখল করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন তিনি। ২০০০ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুলে এরপর ২০০৫ সালে রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল থেকে স্কুলের সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক এবং ২০০৭ সালে রাইচরন তারিণীচরণ কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচে ম্যাথমেটিক্সে ভর্তির সুযোগ পান। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা থাকায় পুনরায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ভর্তি হন। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং তার প্রিয় বিষয় হলেও, সময়ের চাহিদা এবং আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের সুউজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে প্রথম মেধাস্থান দখল করে সম্মানসহ বিএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জনের জন্য তিনি গবেষণা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন (সিআরআই ইউনিট-১) এর সিগন্যাল প্রসেসিং এন্ড কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে পিএইচডি ডিগ্রীর গবেষণার জন্য তিনি বিদেশ গমন করবেন।   

     

কর্মজীবন

সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদের কর্মজীবনের শুরু হয় রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ২০১৩ সালের ১৬-ই সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের মধ্য দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত রয়েলসফট টেকনোলজিস ও রয়েলসফট কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত রয়েল ইনস্টিটিঊট অফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE) এর পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।       

 
বই প্রকাশনা

সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদের লেখা প্রায় ৩১ টিরও অধিক ইঞ্জিনিয়ারিং বই প্রকাশিত হয়েছে এবং নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। 

এ,এম,আই,ই পরীক্ষার (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ - (IEB) কর্তৃক পরিচালিত এবং BUET, RUET, CUET, KUET এ অনুষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং মেম্বারশিপের একটি পরীক্ষা) উপর তার লেখা যেসকল বই প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর তালিকাঃ
[1] A Guidebook of A.M.I.E. Mathematics - I
[2] A Guidebook of A.M.I.E. Engineering Mathematics
[3] A Guidebook of A.M.I.E. Physics
[4] A Guidebook of A.M.I.E. Basic Fluid Mechanics
[5] A Guidebook of A.M.I.E. Thermal Engineering
[6] A Guidebook of A.M.I.E. Engineering Mechanics
[7] A Guidebook of A.M.I.E. Properties and Mechanics of Materials
[8] A Guidebook of A.M.I.E. Engineering Materials
[9] A Guidebook of A.M.I.E. Surveying
[10] A Guidebook of A.M.I.E. Computer Fundamentals
[11] A Guidebook of A.M.I.E. Electrical Machines
[12] A Guidebook of A.M.I.E. Heat and Mass Transfer
[13] A Guidebook of A.M.I.E. Science of Materials
[14] A Guidebook of A.M.I.E. Power System Analysis
[15] A Guidebook of A.M.I.E. Power Plant Engineering
[16] A Guidebook of A.M.I.E. Power Station
[17] A Guidebook of A.M.I.E. Measurement and Instrumentation
[18] A Guidebook of A.M.I.E. Applied Thermodynamics
[19]
A Guidebook of A.M.I.E. Strength of Materials
[20] A Guidebook of A.M.I.E. Elementary Electrical Engineering
[21] A Guidebook of A.M.I.E. Elementary Electronics
[22]
A Guidebook of A.M.I.E. Basic Electrical Engineering
[23]
A Guidebook of A.M.I.E. Transmission and Distribution of Electrical Power

এছাড়াও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক যেসকল বই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর তালিকাঃ
[24]
A Guidebook of Network Design and Management
[25] A Guidebook of Biometrics
[26] A Guidebook of Advanced Web Engineering
[27] A Guidebook of Computer Vision
[28] A Guidebook of Embedded System
[29] A Guidebook of Human Computer Interaction
[30]
A Guidebook of Computer Simulation and Modeling
[31] A Guidebook of Database Management System 

আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগদান

a.    International Conference on Computer, Communication, Chemical, Materials and Electronic Engineering, 2015. University of Rajshahi in Bangladesh.

b.    International Conference on Computer, Communication, Chemical, Materials and Electronic Engineering, 2016. University of Rajshahi in Bangladesh.

 

 

বংশলতিকা

শাহ আলীর জন্ম, দিল্লী বাংলাদেশ আগমন এবং মৃত্যু নিয়ে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে রয়েছে মতভেদ। তবে সকলের ঐকমত্য্যের বিষয়টি হল: শাহ আলীর জন্ম বাগদাদের ফোরাত নদীর তীরবর্তী একটি কসবাতে। তিনি হযরত আলী (রঃ)র বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ সৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন সৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী। শিয়া এবং সুন্নীদের ধর্ম বিরোধের সময় তিনি বাগদাদ নগরী হতে প্রস্থান করেন। অন্যদিকে দিল্লীর শাসকদের মধ্যে যখন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চরমাকার ধারণ করে তখন দিল্লীও ত্যাগ করেন। তিনি বাগদাদ হতে আসার পথে শেষ নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর মুই মোবারক  (পবিত্র কেশধাম), হযরত হোসাইনের জুলফ, আবদুল কাদির জিলানীর পিরহান্ বংশগত উত্তরাধিকার হিসাবে সাথে এনেছিলেন।

 

১৪৮৯ সালে শাহ আলী বোগদাদী বাংলায় পর্দাপন করেন। দিল্লী হতে তিনি প্রথমে ফরিদপুরের গেদ্দায় নামক স্থানে আসেন। অতপর ঢাকার আশে-পাশে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। এমতাবস্থায় শাহ আলী বোগদাদী যখন মিরপুরাঞ্চলে এসে উপস্থিত হন তখন সেখানে ঐ জরার্জীর্ন অবস্থায় প্রায় ধংসোন্মুখ মসজিদটি দেখতে পান। বাহিরে তার অনুসারীগণ অবস্থান করলেও তিনি মসজিদের দরজা বন্ধ করে ভিতরে একা ৪০ দিনের মেয়াদে চিল্লায় বসেন। ভিতরে যতকিছুই হোক না কেন, তিনি তার মুরীদগণকে চিল্লার চল্লিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থায়ই ভিতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলেন। চিল্লার শেষ পর্যায়ে ৩৯ তম দিনে ভিতর হতে ভয়ংকর অওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। যাতে মনে হচ্ছিল ভিতরে দুইট সত্ত্বার মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। একা পক্ষ আর্তচিৎকার করছে। ফলে অসহায় হয়ে তার অনুসারীগণ দরজা ভেঙ্গে ফেলেন। দরজা ভাঙ্গার সাথে সাথে ভিতরের আওয়াজও বন্ধ হয়ে যায় অথচ সেখানে তারা তার রক্তাক্ত ছিন্ন বিচ্ছ্নি দেহ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাননি। সে সাথে একটি দৈববানী শুনতে পান যাতে বলা হয়, ‘যেখানে পড়ে আছে সেখানেই দাফন করঅতপর তাকে উক্ত মসজিদের ভিতরেই দাফন করা হয়। তখন হতে এ মসজিদটি তার দরগা শরীফে পরিণত হয়। সাধারণত আর কোন ছুফি-দরবেশের এরুপ মাজার কোথাও চোখে পড়েনা। তৎকালীন বাদশাহ নাসিরুল মুলক-এর আমলে হিজরী ১২২১ সালে (প্রায় ১৮০৭ ইং) মুহম্মদী শাহ নামক অপর এক ছুফি ব্যক্তিত্ব উক্ত দরগা শরীফকে তৃতীয় বারের মত পূণ নির্মাণ করেন। শাহ আলী বোগদাদীর মাজার যে মসজিদে অবস্থিত তা তার নামে শাহ আলী মসজিদ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করলেও মূলত তা তার আগমনপূর্ব একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। দিল্লী সম্রাট কর্তৃক মিরপুরে এ মসজিদটি নির্মিত হয়। একটি ঐতিহাসিক সূত্র হতে জানাযায়, বাংলার স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে (১৪৭৪-১৪৮১) এ অঞ্চলের গভর্নর জহিরউদ্দীন খান হিজরি ৮৮৫ সাল মোতাবেক ১৪৮০ খৃষ্টাব্ধে এটি নির্মান করেন। ঢাকায় আদি ইট নির্মিত যে সকল পুরার্কীতি বা ঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখা যায় তার মধ্যে বিনতা বিবির মসজিদটি (১৪৫৭) সর্বপ্রথম নির্মিত হয়। এরপরই নির্মিত হয় শাহ আলীর মসজিদ।



হযরত সৈয়দ শাহ্‌ আলীর বংশ থেকেই ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার বনমালদিয়া আসেন সৈয়দ শাহ্‌ হাবীব মারদানে খোঁদা। সৈয়দ শাহ্‌ হাবীব মারদানে খোঁদার বংশধর হলেন সৈয়দ শাহ্‌ আব্দুল আজিম এবং সৈয়দ শাহ্‌ আব্দুল আজিম এর পুত্র সন্তান হলেন সৈয়দ মীর আব্দুল খালেক । সৈয়দ মীর আব্দুল খালেকের বড় কন্যা হলেন সৈয়দা নুরুন নাহার যিনি মোঃ ইয়াসিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সৈয়দা নুরুন নাহার ও এস. এম. ইয়াসিন এর বড় পুত্র হলেন, ডাঃ সৈয়দ মীর আশরাফুল মোমিন ( Dr. S. M. A. Momin) এবং ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মীর তালহা জুবায়েদ হলেন ডাঃ সৈয়দ মীর আশরাফুল মোমিন এর তৃতীয় পুত্রসন্তান। 

Reference:
[1] www.royalengineeringacademy.page.tl
[2] www.maguradistrict.page.tl
[3] www.ru.ac.bd



 
Today, there have been 11877 visitors (21034 hits) on this page!
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free